খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে এ আবেদন করা হয়। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ আবেদন করেন। তবে আদালতে এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
বৃহস্পতিবার মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এজন্য তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন এ মর্মে মেডিক্যাল সাটিফিকেট দাখিল করেন সানাউল্লাহ মিয়া।
এদিকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে জেরা করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ না হওয়ায় তারা সময় চান। আদালত অবিশিষ্ট জেরার তারিখ ২৪ জুলাই ধার্য করেন।
অরফনেজ ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৪ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে এদিন খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, হেলাল উদ্দিন, হান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন