ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এএসপি মিজান হত্যা : শাহ আলমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৩ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এএসপি মিজান হত্যা : শাহ আলমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শাহ আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শাহ আলমকে রোববার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম। শাহ আলম স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান তা রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার রাতে শাহ আলমকে গাজীপুরের টঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও গ্রেপ্তার শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ২১ জুন ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরায় তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেট কারে যাত্রীবেশে বসে ছিলেন। এএসপি মিজানুর রহমান এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইকারীরা মিজানুরকে গাড়িতে উঠতে বলেন।

গাড়িতে উঠার পর ফারুক বুঝতে পারেন মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। তখন ফারুক গাড়ি থেকে নেমে যান কিন্তু পরক্ষণেই আবার গাড়িতে উঠেন। চালকের আসনে ছিলেন জাকির। শাহ আলম সামনে বসা ছিলেন। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে দেন। গাড়িটি জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পেছনের সিটে বসা আরো দুজন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকেন। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যান। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় যান। এরপরই বিরুলিয়া ব্রিজের পাশে ঘন গাছপালা দেখে মৃত মিজানুরকে ফেলে যান।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম এসব কথা স্বীকার করেছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য বের করা হবে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই তার ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) মামলার তদন্ত করছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়