ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর প্রাক্তন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন- কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর প্রাক্তন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিন।

মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নূর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ অরফে সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান ও মো. আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ অন্যরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় প্রাক্তন কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
 

আরো পড়ুন : #
                  #

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ