ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নতুন ঠিকানায় বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া শিশুটি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ২২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নতুন ঠিকানায় বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া শিশুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া ১০ মাসের শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন এখন আইনজীবী সেলিনা আক্তার দম্পতির ঘরে।

রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিশুটিকে ওই দম্পতির কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার ওই দম্পতি ফাতেমার নামে এক্সিম ব্যাংকে করা ৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং শিশুটির সার্বিক কল্যাণ করবেন মর্মে একটি হলফনামা আদালতে দাখিল করেন। এরপর শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান শিশুটিকে ওই দম্পতির জিম্মায় প্রদানের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার আদালতের আদেশ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পৌঁছানোর পর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ওই দম্পতির কাছে বুঝিয়ে দেন।

আইনজীবী সেলিনা আক্তার শিশুটিকে বুঝে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা এক্সিম ব্যাংকের ঢাকার একটি শাখায় শিশুটির নামে ৫ লাখ টাকার একটি এফডিআর করেছি। যার ডকুমেন্ট আদালতে হলফনামাসহ জমা দিয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন ওর সার্বিক কল্যাণ করতে পারি।

আইনজীবী সেলিনা আক্তার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সিনিয়র ল’ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্বামী মো. আলমগীর হোসেন একজন ব্যবসায়ী। ১০ বছর বিবাহিত জীবনে তারা নিঃসন্তান।

জানা যায়, ৯ জুলাই বিজি-০০৮৫ বিমানে জর্ডান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা একটি ফ্লাইটে স্বপ্না নামের এক যাত্রীর কোলে শিশু ফাতেমাকে রাখার অনুরোধ করেন তার মা। স্বপ্নাও মায়াবশত শিশুটিকে কোলে নেন। শিশুটিকে কোলে নিয়ে স্বপ্না শিশুটির মায়ের সঙ্গে খোশগল্প করতে থাকেন। রাত ৯টায় বিমানটি বিমানবন্দরে পৌঁছালে শিশুটির মা স্বপ্নাকে শিশুকে নিয়ে গোলচত্বরের ওভারব্রিজের কাছে দাঁড়াতে বলেন এবং তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে বুকিংকৃত মালামাল গ্রহণ করে ওই স্থানে আসবেন বলে আশ্বাস দেন। ওইদিন ওই নির্দিষ্ট স্থানে দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে স্বপ্না তার বাসায় শিশুটিকে নিয়ে যান। পরের দিন বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের এপিবিএন পুলিশের কাছে আসেন। পরে এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় জিডি করা হয় (জিডি নং ৪০৪)। পরবর্তী সময়ে শিশুটিকে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পাঠানো হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়