ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাতে ২ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্থ আত্মসাতে ২ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : জালিয়াতির মাধ্যমে ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় কমার্শিয়াল ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, এএমসিএস টেক্সটাইলস লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান চাঁদ মিয়া, লন্ডন ফার্স্ট টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাশেদা খাতুন, সিলেটের বাসিন্দা এ আলী (সমির উদ্দিন), কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের প্রাক্তন ম্যানেজার ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লি., কলেজ গেট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসিফুল হক এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের প্রাক্তন সহকারী ম্যানেজার নূরুল আলম খান।

দুদক সূত্র জানায়, আসামি মোহাম্মদ আসিফুল হক প্রাক্তন হেড অব কাস্টমার সার্ভিস (ম্যানেজার) হিসেবে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনে কর্মরত থাকাকালে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ভুয়া ব্যক্তিকে নমিনি দেখিয়ে স্বাক্ষরে চাঁদ মিয়া নামীয় একটি হিসাব খোলেন। এর পর ১ নং আসামি চাঁদ মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এএমসিএস টেক্সটাইল লি.-এর নামে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, পিএলসি, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট, গুলশান, ঢাকার একটি ওবিইউ (অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট) অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার চাঁদ মিয়ার নামীয় হিসাব নং ১৮০২০০২২৩০-তে স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে স্থানান্তরকৃত ওই মার্কিন ডলার তিনজন ভুয়া অস্তিত্বহীন ব্যক্তি সাফি আহমেদ, আতিক হাসান ও রেজাউল করিমের নামে একই ব্যাংকে তিনটি পৃথক হিসাবে যথাক্রমে ১৬০০ মার্কিন ডলার, ৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ও ৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পুনরায় স্থানান্তরপূর্বক উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

অনুরূপ পদ্ধতিতে আসামি চাঁদ মিয়া, রাশেদা খাতুন, এ আলী (সমির উদ্দিন), মোহাম্মদ আসিফুল হক এবং নূরুল আলম খান অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ টাকা  স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে আত্মসাৎ করেন।

দুদকের তদন্তে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ও ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারায় চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বরে গুলশান থানা মামলা দায়ের করেছিল দুদক। আর তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপসহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়