ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৬ নভেম্বর

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৬ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হান উল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ১২ জুলাই শাহনা আক্তার নামে এক নারী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত পুলিশের ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনারকে (ডিসি) মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষ্মী কান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কে এম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।

শাহনা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে দেন। ফরমান উল্লাহ যাত্রাবাড়ী থানার কিছু পুলিশ সদস্যকে মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে দেখেন।  তিনি ৫ মে, ৮ জুন ও ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়ে অভিযুক্তরা তাকে ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলেন। অভিযোগ তুলে না নিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়।

গত ২১ জুন শাহনা আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে ওয়ারী থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেটে যান। এ সময় অভিযুক্তদের একজন ফরমান উল্লাহকে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজ হাসপাতালে ডেকে নেন। দীর্ঘ সময় ফরমান উল্লাহ ফিরে না আসায় শাহনা আক্তারও সেখানে যান। এ সময় তিনি দেখতে পান যে, আসামিরা ফরমান উল্লাহকে টেনে-হিঁছড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যাচ্ছে।

শাহনা আক্তার পুলিশের ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদকে বিষয়টি জানান। ডিসি ফরিদ এসি ইফতেখারুল ইসলামকে ফোন করে ফরমান উল্লাহকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং শাহনা আক্তারকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

শাহনা আক্তার থানায় গেলে এসি ইফতেখারুল ইসলাম ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করেন এবং নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দিয়ে শাহনা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন, থাপ্পড় মারেন ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। শাহনা আক্তার তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। এরপর ইফতেখারুল ইসলাম তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। শাহনা আক্তার তাদের ২ লাখ টাকা দেন।

এর আগে ফরমান উল্লাহকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে শাহনা আক্তার সেখানে গেলে জানতে পারেন যে, তার স্বামীকে তিনটি মাদক মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ফরমান উল্লাহ কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শাহনা আক্তার মামলার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে জানান। তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়