কোটি টাকার বন্ডের কাপড়সহ কাভার্ডভ্যান জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্ড সুবিধা নিয়ে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগে কাভার্ডভ্যান ভর্তি প্রায় কোটি টাকার বন্ডের কাপড় জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল।
শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর সিএমএম কোর্ট এলাকার জনসন রোড থেকে কাভার্ডভ্যান ভর্তি বন্ডের কাপড় জব্দ করা হয়। রোববার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।
শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, শনিবার গভীর রাতে পণ্য বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি (চট্ট মেট্রো- ট ১১-৭১২০) আটক করা হয়। গাড়িতে প্রাপ্ত কাগজপত্র অনুযায়ী পরিবহনের পণ্য হচ্ছে ২৮১ রোল শতভাগ পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স। যা ‘মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা’ নামীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানিকৃত।
এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের অপর একটি তদন্ত শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে চলমান রয়েছে। গত ২১ জুন এ প্রতিষ্ঠানের ৪টি বন্ডের কাপড় বোঝাই গাড়ি আটক করে জরিমানাসহ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল শুল্ক গোয়ন্দা। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ফের একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
শুল্ক গোয়েন্দা আরো জানায়, পণ্য রপ্তানি উৎসাহিত করতে রপ্তানিতব্য পণ্যের কাচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানির জন্য ‘বন্ডিং সুবিধা’ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে পণ্য প্রস্তুতপূর্বক বিদেশে রপ্তানি না করে অধিক মুনাফার লোভে সেগুলো অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে বলে মনে করছে শুল্ক গোয়েন্দা।
গাড়ির সাথে থাকা আমদানি দলিলাদিতে দেখা যায়, উল্লিখিত বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি গত ১২-১০-১৭ তারিখে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি নং-১২৮৫৪৩৮ এর মাধ্যমে ৮২৪ প্যাকেজ পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স শুল্কমুক্ত (আইএম ৭) সুবিধায় আমদানি করে। পরে আমদানিকৃত কাপড়গুলো ৩টি কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে টংগীর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসার জন্য বোঝাই করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে আমদানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের নির্দেশে গাড়িগুলি ফ্যাক্টরির টংগীর ঠিকানায় বাইপাস বরাবর না গিয়ে কাচপুর ব্রিজ পার হয়ে ঢাকার ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় গাড়িচালকদের রাজধানীর ইসলামপুরের দিকে যেতে বলা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতি টের পেয়ে বাকি ২টি গাড়ি দ্রুত পালিয়ে যায়। শুল্ক গোয়েন্দা দল পণ্যসমেত কাভার্ডভ্যানটি আটক করে ভোররাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসাথে পালিয়ে যাওয়া বাকি গাড়িগুলো আটকের চেষ্টা চলছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ অক্টোবর ২০১৭/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন