ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১২ হাজারের মাইক্রোওয়েভ ওভেনে মিলল লাখ টাকা

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২২ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১২ হাজারের মাইক্রোওয়েভ ওভেনে মিলল লাখ টাকা

ওয়ালটনের এই মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনেই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন মো. শাহাবুদ্দিন

জাকির হুসাইন : ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রথমবারের মতো মাত্র ১২ হাজার টাকায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালী সদরের মো. শাহাবুদ্দিন।

তার লাখ টাকা পাওয়ার এই খবর এখন এলাকার সবার মুখে মুখে। সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় হৈ চৈ পড়েছে। প্রায় এক মাস আগ থেকে ওই এলাকায় লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। অবশেষে ওই এলাকায় লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় এই প্রচার উৎসবে রূপ নিয়েছে। সবখানে শোনা যাচ্ছে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার কথা।

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার বিজয়ী মো. শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সদর থানার চরমোটুয়া ইউনিয়নের বর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ২৩ বছর ধরে তিনি কুয়েতে কাজ করছেন। প্রতি দুই বছর পর ৫ মাসের জন্য দেশে আসেন। চলতি মাসের ৩০ তারিখ ছুটি শেষে আবার কুয়েতে ফিরে যাবেন তিনি।

শাহাবুদ্দিন জানান, তার বাবা বেঁচে থাকলেও মা গত ১১ বছর আগে মারা যান। চার বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। বর্তমানে বাবা, স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের পরিবার তার। বড় ছেলেটি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বাকি দুইজন সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আমি ও আমাদের বেশির ভাগ আত্মীয়-স্বজন অনেক আগে থেকেই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি। আমাদের ঘরের টিভি, ফ্রিজ ওয়ালটনের। নতুন করে পরিবারের জন্য একটি ওভেন দরকার হয়। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় মাইজদি বাজারে মেসার্স খালেক ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স শোরুমে যাই। ওখান থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ওয়ালটনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনি। আশা না থাকলেও মাত্র ১২ হাজার টাকায় আমার ভাগ্যে মিলে যায় ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। মোবাইলে লাখ টাকার মেসেজ দেখেও আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। শোরুমের বিক্রয়কর্মীরাই আমাকে নিশ্চিত করেন। আমি ও আমার সব আত্মীয়-স্বজন দারুন খুশি। বেশি খুশি আমার স্ত্রী ও ছেলেরা।

তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্যে কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। কিন্তু কে বা কারা পুরস্কার পায় সেটা জানার জন্য সবার মাঝে বেশ কৌতুহল ছিল। আমি যে সেই ভাগ্যবানদের একজন, এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। হাট-বাজারে যেখানে যাচ্ছি সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। মোট কথা, আমাদের এলাকায় ওয়ালটনের এই পুরস্কারের কথা সবার মুখে মুখে।
 

মো. শাহাবুদ্দিনের হাতে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেওয়া হচ্ছে


এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী পণ্য কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সংসারে সবই আছে। তবে যেহেতু পুরস্কার পেয়েছি, তাই নতুন করে কয়েকটি পণ্য নিয়েছি। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে একটি বড় ফ্রিজ, ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে ৪৩ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি, ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ওয়াশিং মেশিন এবং ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি প্রিমো ‘এন-থ্রি’ স্মার্টফোন নিয়েছি।

বাজারে আরো অনেক ব্র্যান্ড থাকতে ওয়ালটনের পণ্য কেন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজারে যত পণ্যই থাক, তার অধিকাংশ বিদেশি। আমরা দেশকে ভালোবাসি। তাই দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করি।

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা অনেক আগে থেকে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি। আমার পরিবারে যেসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য আছে, তার সবই ওয়ালটনের। গত ৭ বছর ধরে ওয়ালটন টিভি, ৪ বছর ধরে ফ্রিজ ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। মোট কথা ওয়ালটন পণ্যের মান ও গুণাগুণ অনেক ভালো। আর দামের বিষয়ে যদি বলেন, তবে আমি বলব অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে অর্ধেক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও কম।

তিনি আরো বলেন, শুধু আমি না, আমার সকল আত্মীয় স্বজন সবাই দেশীয় এই কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করে। গত কোরবানীর ঈদের সময়ও আমার চাচাদের দুইটি ওয়ালটন ফ্রিজ আমি নিজে থেকে কিনে দিয়েছি। আমাদের এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখবেন বিদেশি নামি-দামি কোম্পানির চেয়ে ওয়ালটন পণ্য বেশি চলে। ওয়ালটন পণ্যের মান ভালো ও সুযোগ-সুবিধা বেশি হওয়ায় দ্রুত নোয়াখালীবাসীর মন জয় করেছে।

ওয়ালটনের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ও ক্যাশ ভাউচার প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়ালটনের এ ধরনের কার্যক্রমকে আমি পজেটিভ হিসেবে দেখছি। এর ফলে যারা ওয়ালটন পণ্য সম্পর্কে জানত না, তারাও এখন জানতে পারছে। এতে একদিকে যেমন কোম্পানিটি পরিচিতি পাচ্ছে, অন্যদিকে পণ্যের বিক্রি বাড়ছে। এ ধরনের কার্যক্রম আরো বেশি বেশি নেওয়ার পরামর্শ দিতে চাই। একই সঙ্গে ওয়ালটন কোম্পানি যেন শুধু নোয়াখালী নয়, দেশের সব মানুষের মন জয় করতে পারে আমি সে কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়