ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিঙ্গাপুর ফেরত জেএমবির দুই সদস্য কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিঙ্গাপুর ফেরত জেএমবির দুই সদস্য কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিঙ্গাপুর ফেরত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- দৌলত জামান ওরফে মোয়াজ আল বাঙালি (৩৫) ও সোহেল হাওলাদার ওরফে বেলাল হাফসী আল বাঙালি (২৭)।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার এসআই এ কে এম জিয়াউর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অপরদিকে আসামিদের পক্ষে মো. আওলাদ হোসেন জামিনের শুনানি করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকার পূর্ব রাজারবাগ এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ অক্টোবরর দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট, নয়টি উগ্রবাদ সংক্রান্ত বই, চারটি মোবাইল ফোন একং সাতটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

পরে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানান, তারা দুজনই সিঙ্গাপুর প্রবাসী শ্রমিক। এদের মধ্যে দৌলত জামান ২০০৪ সালে ও ২০০৯ সালে সোহেল সিঙ্গাপুরে যায়। সেখানে মিজানুর রহমান নামের একজনের মাধ্যমে তারা জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। ২০১৫ সাল থেকে তারা সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত শ্রমিকদের মধ্যে গোপনে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করত। মূলত কর্মী ও অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের টার্গেট ছিল সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারক, ব্লগারদের লক্ষ করে নাশকতা চালাবে। তাদের গ্রুপে আটজন সদস্য সক্রিয় ছিল। তারা সিঙ্গাপুরে চারটি গোপন বৈঠক করেছিল বলে স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ মার্চে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ওয়াটার ফ্রন্ট পার্কে সর্বশেষ গোপন বৈঠক করেছিল। সেখানে সবাই মিলে মিজানুরের বায়াত গ্রহণ করে ও শপথ করে যে জঙ্গিবাদ কার্যক্রম করবে। এ কাজে তারা নিয়মিত চাঁদা দিত। ওই বছরের এপ্রিল মাসে তারা সিঙ্গাপুরে ধরা পড়ে। দীর্ঘ দেড় বছর সাজা শেষে দৌলত জামান ও সোহেল ছাড়া পায়। মিজান এখনো জেলে আছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে প্রবেশের পর থেকে তাদের ওপর র‌্যাবের নজরদারি ছিল। কঠোর নজরদারি করে দেখা যায়, তারা এখনো আগের মতাদর্শে রয়েছে এবং বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে চায়। তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারক, ব্লগারদের ওপর নাশকতা চালাতে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে। পরে তাদের সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৭/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়