ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় তৎকালীণ রমনা থানার ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। আর হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টাদিকে ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন ড. হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকা সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের অগাস্টে তিনি গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান। পরে ওই বছরের ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামিরা হলেন জেএমবির সূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ এবং আনোয়ার কারাগারে আটক রয়েছে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ  পলাতক রয়েছে। আর হাফিজ মারা গেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়