ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ঢাকার খাল দখলমুক্ত করে দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণের সুপারিশ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২১ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকার খাল দখলমুক্ত করে দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণের সুপারিশ

মেহেদী হাসান ডালিম : ঢাকা মহানগরীর দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার, খনন, দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণেরও সুপারিশ করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চে ঢাকা জেলা প্রশাসকের দাখিল করা প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে বলেন, জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আগামী রোববার এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, সিএস/এসএ নকশা বিবেচনায় নিয়ে খালগুলোর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা এবং আরএস ও সিটি জরিপে ব্যক্তি নামে রেকর্ডভুক্ত জমি অধিগ্রহণ করে খাল খনন করা দরকার।

প্রতিবেদনে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের অবকাঠামো ও জনবল সংকটের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, উচ্ছেদ চলাকালে বুলডোজার, ভেকু, চেইন বুলডোজার এবং পর্যাপ্ত শ্রমিক প্রয়োজন। যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেই। ফলে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতা দরকার হয়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারণ, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার পর পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে অবৈধ দখলদাররা পুনরায় সেই স্থান দখল করে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উচ্ছেদযোগ্য খালের তালিকা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে খালসংক্রান্ত মামলার তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২ নভেম্বর রাজধানীর কালুনগর-হাজারীবাগ খালের প্রায় ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে মাসেনন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী (জিরানী) খালের ওপর অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ২১৮ জন অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগরের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার দখলে থাকা ৫৮টি খাল ও জলাধারের ওপর সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দখল হওয়া খালসমূহ পুনরুদ্ধারে কী কী পদক্ষেপে গ্রহণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গত ২৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকার খালে ২৪৮ দখলদার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসলে হাইকোর্ট উক্ত আদেশ দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ নভেম্বর ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়