অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় আইনে নির্ধারিত মডেল ট্যাক্সের (আদর্শ তফসিল) চেয়ে অতিরিক্ত (অসামঞ্জস্যপূর্ণ) হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময়ে জারি করা নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে অতিরিক্ত (অসামঞ্জস্যপূর্ণ) হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মোক্তাদির রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
স্থানীয় সরকার সচিব, ডিএসসিসি মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ১০৪ বাসিন্দার করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস-১৯৮৬ অনুসারে পৌর কর্তৃপক্ষ ৫ থেকে ১০ ভাগের বেশি কর আরোপ করতে পারবে না। এরপর এ রুলের অধীনে ২০১৫ সালে একটি গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ওই গেজেটে ইমারত ও জমির ওপর ৭ ভাগ, ময়লা নিষ্কাশন বাবদ ৭ ভাগ, সড়ক বাতি বাবদ ৫ ভাগ, পানি বাবদ ৩ ভাগ এবং স্বাস্থ্য খাতে ৮ ভাগ ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। সব মিলিয়ে ৩০ ভাগ ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়।
এ আইনজীবী জানান, আইন অনুযায়ী প্রতিটি এলাকার বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করার পর তার বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে ওই পাঁচটি খাতে ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে। করপোরেশন আইনবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সময়ে ক্রমান্বয়ে তিনটি খাতে (ইমারত ও জমি, ময়লা নিষ্কাশন এবং সড়ক বাতি) হোল্ডিং ট্যাক্স কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩২০ ভাগ থেকে ৯৭৬ ভাগ পর্যন্ত বাড়িয়ে আদায় করছে। আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর বাড়ি ভাড়া মূল্যায়ন করার কথা। কিন্তু তা করছে না কর্তৃপক্ষ। আইনের বাইরে গিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে যেসব নোটিস জারি করেছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত উক্ত আদেশ দেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন