সাজাপ্রাপ্ত বিমলের পিপি পদ বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক : যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনা দায়রা জজ অদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমলের পিপি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই রায়ের ফলে গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল পিপি পদে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে বিমলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সামসাদ।
পরে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। এ কারণে গোলাম মোহাম্মদ খান পিপি পদে ফিরতে পারছেন না।’
এর আগে গত ২০ আগস্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনা দায়রা জজ অদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিমলের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে করে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান। আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত হন গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান। ২০০৯ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান।
পরে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন এবং পাশাপাশি রুল জারি করেন।
গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান নেত্রকোনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মামা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন