জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় হলে বাল্যবিবাহ কমে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় হলে বাল্যবিবাহ কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

আদালত বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে এটা জনপ্রতিনিধিরা ভালো করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলে তারা দায় এড়াতে পারেন না।

আদালত আরো বলেন, সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু সাকসেসটা কম। পরে আদালত এই মামলায় দুপুর ২টার পর আদেশের জন্য সময় ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বাল্যবিবাহ বন্ধে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

রুলে প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে স্ব স্ব সংস্থার মেয়র ও কাউন্সিল কেন দায়ী থাকবে না এবং বাল্যবিবাহ সংঘটিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও পদচ্যুতের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রুল জারি করা হয়। এই আদেশের অনুলিপি সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন, স্বরাষ্ট সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘২৪ ঘণ্টায় আট বাল্যবিবাহ বন্ধ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/ইভা