ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হতে চান ময়মনসিংহের লতিফ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হতে চান ময়মনসিংহের লতিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি ময়মনসিংহের আবদুল লতিফ দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি এ আবেদন করেন।

পরে ওই আবেদনের শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে আবদুল লতিফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শুকুর আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

মঙ্গলবার রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে গফরগাঁওয়ের খলিলুর রহমানসহ ১১ জন বিরুদ্ধে মামলা হয়। আব্দুল লতিফ ওই মামলার পলাতক আসামি।

পলাতকদের গ্রেপ্তারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির পর গত ২২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন আবদুল লতিফ। ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফ রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন বলে জানান রেজিয়া সুলতানা চমন।

খলিলুর রহমানসহ এ মামলার মোট আসামি ১১ জন। এরমধ্যে ছয়জন  গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাচঁজন পলাতক।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- মো. খলিলুর রহমান, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. রইছ উদ্দিন, আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ও আব্দুল লতিফ। পলাতক পাঁচজন হলেন- এ এস ফয়েজুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, আলীমুদ্দিন খান,  নুরুল আমিন সাজাহান ও সিরাজুল ইসলাম।

মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধুয়া ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো যুদ্ধাপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়