ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন গুলশান থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তারও আগে খালেদা জিয়াকে  কয়েক দফায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ‘স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

এরপর চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তা আমলে নিয়ে প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন। ওই মন্ত্রী পরিষদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রকাশ্য এবং আত্মস্বীকৃতিরূপে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, আলবদর, আলসামস কমিটির সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রী ও এমপি বানান। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তার মধ্যে তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রীত্বের সুবিধা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা তাদের বাড়ি এবং গাড়িতে ব্যবহার করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের তার মন্ত্রী সভায় মন্ত্রীত্ব প্রদান করে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকাকে উক্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে তুলে দিয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক জনগণের মর্যাদা ভুলন্ঠিত করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিকে প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের সুযোগ না থাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৮/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়