ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কারাগারে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ: দুদকের অভিযান

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কারাগারে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ: দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির সঙ্গে দেখা করতে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছে- এমন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ নম্বরে একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েই কমিশন ঝটিকা এই অভিযান চালায়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের সশস্ত্র পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও  দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দুদক টিম  কারাগারে  অভিযান চালায়। ওই টিমের সঙ্গে ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।

দুদক সুত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ জনৈক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কারাগারের কিছু কর্মকর্তা/কর্মচারী তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন। টাকা না দেওয়ায় তার আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। এমন অভিযোগ পেয়ে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরীকে অবহিত করেন। মহাপরিচালক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। টিমের সদস্যরা দুদকের সশস্ত্র পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে অভিযানে বের হন এবং বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেন।

দুদক টিম উপস্থিত হয়ে সেখানে আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এদের মধ্যে মুশফিকুর রহমান নামের একজন ভুক্তভোগী দুদক টিমকে জানান, কারাগারের আটক থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছে ৫০০ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। তার কাছে ৫০০ টাকা না থাকায় এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়,  তিনি এখনও বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। দুদক টিমের সদস্যরা যিনি টাকা দাবি করেছেন সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য বলা হলেও মুশফিক দেখাতে পারেননি। এরপর দুদক টিমের সদস্যরা একাধিক সাক্ষাৎ প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং টাকার বিনিময়ে সাক্ষাতের অভিযোগও পান।

দুদক আরো জানায়, এরপর দুদক টিম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। ডেপুটি জেলার এসব অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন জানান, তাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। তাছাড়া বাইরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ফোন নম্বর দেওয়া আছে। কেউ চাইলে যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করতে পারবেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। আর এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়