খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য সদস্য লুৎফা তাহেরের (মহিলা আসন-৪০) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমার সাথে সাথে বাংলাদেশেও খাদ্যশস্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন বর্তমানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৭ টাকা কমেছে এবং আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। ধান চাল ও গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার স্ব স্ব পণ্যের উৎপাদন খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধান, চাল ও গম এর সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
চলতি অর্থবছরে বাজেটে অভ্যন্তরীণভাবে ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাল ২ লাখ মেট্রিকটন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু গত বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাল সংগ্রহের অনিশ্চয়তা তেকে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যে বাজেটের নির্ধারিত ৬ লাখ মেট্রিকটনের অতিরিক্ত ৯ লাখ মেট্রিকটন অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত বাজেটের আওতায় অভ্যন্তরীণভাবে ১৩ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ মেট্রিকটন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহ (লক্ষীপুর-৪) এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার এলএসডিতে দুটি গুদাম রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা ১ হাজার মেট্রিকটন। এছাড়া কমলনগর উপজেলার হাজিরটাট এলএসডিতে পাঁচটি এবং মনোহরপুর এলএসডিতে একটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। যার মোট ধারণক্ষমতা ৩ হাজার মেট্রিকটন। এদুটি উপজেলায় বিদ্যমান খাদ্যগুদামের মাধ্যমে সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার প্রয়োজনে খাদ্যশস্য মজুত ও বিলি-বিতরণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আপাতত কোনো নতুন গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা নেই। তবে ১.৫ লাখ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতার নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলায় ৫০০ মেট্রিকটনের একটি নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন