ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ৮ মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ৮ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুয়া বিল তৈরি করে পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের প্রাক্তন জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সুপার ও অডিটরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমম কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে মামলাগুলো দায়ের করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় বলে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার জেলার প্রাক্তন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এফতেখারুল আলম (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), প্রাক্তন সুপার আব্দুস ছবুর (বর্তমানে রামু উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে কর্মরত), প্রাক্তন অডিটর নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান (বর্তমানে উখিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে কর্মরত) এবং প্রাক্তন অডিটর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানায়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে জেলায় আটটি খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পৌর কর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ৬০ লাখ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পৌর কর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ৫ লাখ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া বেতন পরিশোধ দেখিয়ে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকা এবং সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ৭ লাখ ১ হাজার ৫৪৫ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের বৃত্তি খাতে পরিশোধ দেখিয়ে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৯ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ১৭  টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ দেখিয়ে ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুদক আইনের ৫(২) ধারায় আটটি পৃথক মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যা লয়-২ এর সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়