ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ তিনজন কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ তিনজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (প্রেষণে) উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেক হাসান মতিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. ফিরোজ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

জামিনের বিরোধিতা করে আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা খুবই প্রভাবশালী। তারা জামিনে মুক্তি পেলে মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, চাপ সৃষ্টি করে এবং সাক্ষীদের যেকোনোভাবে প্রভাবিত করে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। এজন্য মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের প্রার্থনা করেন।

মোতালেব হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী গাজী শাহ আলম বলেন, মোতালেব কোনো অর্থ লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। হয়রানি করতে সন্দেহজনকভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে পুলিশ রিমান্ড চাইত। হাওয়ার কথার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাই আমরা তার জামিন চাইছি।

খালেক হাসান মতিনের পক্ষে এহেসানুল হক সমাজী বলেন, মামলাটি মহা ত্রুটিপূর্ণ। প্রসিকিউশনের মামলাটি আইনের দৃষ্টিতে দুর্বল। মিথ্যা অভিযোগে তাকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আসামি অসুস্থ ব্যক্তি। তার চিকিৎসা চলছে। তাকে জামিন দিলে জামিনের অপব্যবহার করবেন না। তাই আমি তার জামিন চাইছি।

নাসির উদ্দিনের পক্ষে কিবরিয়া হাসান বলেন, ১৮ তারিখে তিনি নিখোঁজ হন। বনানী থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। ২১ তারিখ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার আইন থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি। আমি তার নিঃশর্ত জামিন চাইছি।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, জঙ্গি-সম্পৃক্ততার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে ঘুষ লেনদেন হয়েছে। আমি তাদের জামিনের বিরোধিতা করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা। আসামিদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেক হোসেন মতিনকে রোববার সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়