ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৯ লাখ টাকা পেলেন সেই মাকসুদা

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ১৫ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৯ লাখ টাকা পেলেন সেই মাকসুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাইকোর্টের আদেশে ৯ লাখ টাকা পেয়েছেন ভুল চিকিৎসার শিকার পটুয়াখালীর বাউফলের মাকসুদা বেগম। ৯ লাখ টাকার মধ্যে অপারেশনকারী ভুয়া ডাক্তার কথিত রাজন দাস (অর্জুন চক্রবর্তী) ৫ লাখ টাকা ও নিরাময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ টাকা মাকসুদা বেগমের হাতে তুলে দিয়েছেন।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে টাকা প্রদানের বিষয়টি এফিডেভিট আকারে অবহিত করেছেন বিবাদীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার ৯ লাখ টাকা পাওয়ার বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন মাকসুদা বেগমের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য ২৭ মে দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।’

এর আগে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার শিকার মাকসুদা বেগমকে ৯ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

আদালতে মাকসুদা বেগমের পক্ষে মামলায় শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সামসাদ।

এর আগে ভুল চিকিৎসার শিকার মাকসুদা বেগম ক্ষতিপুরণ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদউল্লা। এ প্রতিবেদন দেখার পর আদালত ২৩ জুলাই আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন, বরিশাল মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধান এবং নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে তলব করা হয়। এরপর তারা আদালতে হাজির হন। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর সিভিল সার্জন তদন্ত শেষে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসক হিসেবে রাজন দাসের সনদ জাল। আদালতের আদেশে রাজন দাস এখন জেলে রয়েছেন।

মাকসুদা বেগম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক। পরে ১২ জুলাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাকসুদার অস্ত্রোপচার হয়। তখন তার পেটের ভেতর থেকে গজ বের করা হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৮/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়