ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর রিমান্ড

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ লাখ টাকা ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ড. এস এম নাজমুল হকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুহম্মদ ফাহ্দ বিন আমিন চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামে যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্র প্রদানের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে নাজমুল হককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না-তা জানার জন্য জেল-হাজতে আটক নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

নাজমুল হকের পক্ষে গোলাম মোস্তফা খান, মোসলেহ উদ্দিন জসিম রিমান্ড বাতিলের আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, নাজমুল হককে ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে একটা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন প্রকৌশলী, তার অফিসেই তো জায়গা আছে। ঘুষ নেওয়ার জন্য তিনি হোটেলে যাবেন কেন?

তারা বলেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার কে না হতে চায়? অন্ত:কোন্দলের ফলে মামলার সৃষ্টি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাজমুল হক অসুস্থ, বয়স্ক একজন মানুষ। এখানে রিমান্ডের কোনো যোক্তিকতা নেই। তার রিমান্ড অগ্রাহ্য করার আবেদন করেন তারা।

দুদকের পক্ষে মোহাম্মদ আবুল হাসান রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন রেস্তোরাঁ থেকে নাজমুল হককে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আর নাজমুল হকের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামে যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য নাজমুল হকের কাছে গেলে তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান। এরপর দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়। এর অংশ হিসেবে ১২ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৬টায় ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ ৫ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন রেস্তোরাঁয় বসে যখন নাজমুল হক গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ওঁত পেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।

একইভাবে গত বছরের ১৮ জুলাই নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামকে ঘুষসহ গ্রেপ্তার করেছিল দুদক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়