ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় শুনানি ২৬ জুন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় শুনানি ২৬ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলাটির অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার দুই আসামি মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক কেএসএম শাহ ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৬ জুন ঠিক করেন।

আর মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এদিন তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন।

আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া উদ্দিন জিয়া, হান্নান ভূঁইয়া, আব্দুল খালেক মিলন, নজরুল হক প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আর হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগপত্রভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক মঈনুল আহসান, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক। আসামিদের মধ্যে এমকে আনোয়ার সম্প্রতি মারা গেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়েও রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়