ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৮ জুলাই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১২, ২৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৮ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাহদুর ইসলাম ইমতিয়াজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পল্লবী থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, ট্রাস্টের পিআইডির বিভাগীয় প্রধান মো. জহিরুল ইসলাম খান ও পিআইডির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আসাদুল্লাহ দেওয়ানকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার উপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী চার কিলোমিটার জুড়ে পাইপ স্থাপন করে জুন ২০১৫ সাল থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন। ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে ১ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল প্রদান করেন। অবশিষ্ট ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪ দশমিক ২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেওয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা দেয়, দিচ্ছি করে ঘুরাতে থাকেন। পরে বাদী টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন। বাদী ওই টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা টাকা দেয়নি। মামলায় ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪ দশমিক ২৬ টাকার সঙ্গে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণসহ মোট ৬ কোটি ৮৫ হাজার ৮৯ হাজার ৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়