ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি : প্রকৌশলীসহ তিনজনের জামিন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ১৮ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি : প্রকৌশলীসহ তিনজনের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার মামলায় বিমানের প্রকৌশলীসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই আসামিদের জামিনের আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিমানের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, জুনিয়র টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই দিনই আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এর আগে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১১ আসামিকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে ওই তিনজনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর একই কর্মকর্তা এই ঘটনার মূল মামলা থেকে এই তিন আসামিসহ ১১ আসামির অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের অনুমতি চান।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ওই আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আদালত ওই ১১ আসামিকে মামলা হতে অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আট আসামি হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর  বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকতা। তাদের ওপর ওই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা গত ২৬ নভেম্বর উক্ত উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উক্ত উড়োজাহাজ গত ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি আনুমানিক ২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ওড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরো কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় উড়োজাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই তুর্কমেনিস্তানে অবতরণ করে। এরপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে অয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করা হলে প্রধানমন্ত্রী ওই উড়োজাহাজেই বুদাপেস্ট যান।

উক্ত ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ ২৮ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতার চিত্র উঠে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮জুন ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়