ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার শুনানি ২৫ জুলাই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৫ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার শুনানি ২৫ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৫ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানিতে অংশ নেওয়ার কারণে মওদুদ আহমদ আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে অ্যাডভোকেট তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সময়ের আবেদন করেন।

আদালত আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৫ জুলাই ঠিক করেন। এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অন্য মামলায় কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

মামলাটিতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান এবং প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আর খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির পক্ষে অভিযোগ শুনানি হয়নি।

এত দিন মামলাটি পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ৮ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি মামলার কার্যক্রম বকশীবাজারের ওই আদালতে চলবে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এসব মামলার বিচার কার্যক্রম চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। ওই ভবনে বহু আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আদালত চলাকালে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর সেকশন ১১-এর সাব সেকশনে (২-এ) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মহানগর হাকিম আদালত নম্বর ৭-এর এই পিটিশন মামলাটির বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার ভবনটি অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। আসামিদের মধ্যে গত ৫ মে  আসামি শফিউর রহমান মারা গেছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৮/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়