ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ভৈরবের ৫০ ফুট তীর নদের গর্ভে, দেড় কিমি জুড়ে ফাটল

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৯, ২৫ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভৈরবের ৫০ ফুট তীর নদের গর্ভে, দেড় কিমি জুড়ে ফাটল

খুলনায় ভৈরব নদের তীরে ফাটল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : নগরীর খুলনা রেলস্টেশন থেকে জোড়াগেট পর্যন্ত ভৈরব তীরে অবস্থিত খাদ্যগুদাম এলাকাসহ ৪, ৫ ও ৬নং ঘাটের আশপাশের বড় একটি অংশ নদের গর্ভে ধসে পড়ছে।

এর মধ্যে ৫নং ঘাটের অন্তত ৫০ ফুট পাড় ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দেড় কিলোমিটারজুড়ে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।

প্রতিদিন ওই সব ঘাটে নোঙ্গরকৃত জাহাজ-কার্গো থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামাল লোড-আনলোড এবং তা দীর্ঘদিন ধরে রেখে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন সংস্কার করার মতো ফান্ড নেই। ফান্ড এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিন জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) আওতাধীন নগরীর ভৈরব নদসংলগ্ন রেলস্টেশন থেকে জোড়াগেট পর্যন্ত বেশ বড় অংশজুড়ে রয়েছে খাদ্যগুদাম, ৪, ৫ ও ৬নং ঘাট। এসব ঘাটে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ছোট জাহাজ ও কার্গো নোঙ্গর করে। নোঙ্গর করা এসব জাহাজ ও কার্গো থেকে সার, বালু, পাথর, কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল লোড-আনলোড করা হয়। মালামাল উঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ভারী বড় আকারের জেটি। অনেক সময় লোড বা আনলোডকৃত মালামাল ওই সব ঘাটে অর্ধমাস, মাস ও অনেক সময় ৬ মাসব্যাপী রেখে দেওয়া হয়। ফলে নানামুখী এসব চাপে ঘাটসংলগ্ন এলাকার আশপাশের একটা বড় অংশ নদের গর্ভে ধসে পড়ছে।

সোমবার ঘাটগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে জেটি দিয়ে মালামাল লোড-আনলোড করা হচ্ছে। ঘাট রক্ষায় দেওয়া শিট ফাইল বেঁকে ও ফুটো হয়ে গেছে এবং প্রোটেকটিং ওয়াল নদে ভেঙে পড়েছে। ফলে অনেক জায়গা নদের গর্ভে ধসে পড়ছে। উপরের ইটগুলো উঠে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় বড় অংশজুড়ে নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। ৫নং ঘাটের অন্তত ৫০ ফুট তীর ইতোমধ্যে নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকায় এসব ঘাটের তীর সংরক্ষণ করে। অথচ সংস্কারের সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর এ পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হলো সংস্কার কাজে অনিয়ম, জেটির অনিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার ও লোড-আনলোডকৃত মালামাল ওই সব ঘাটে অর্ধমাস, মাস ও ৬ মাসব্যাপী রেখে দেওয়া। তারা ঘাটগুলো দ্রুত সংস্কার ও লোডকৃত মালামাল রাখার ক্ষেত্রে নিয়ম ও সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজিবুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখনই সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কার করার মতো ফান্ড নেই। তবে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২৫ জুন ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়