ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়ে পরিপত্রের বিরুদ্ধে রুল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৪, ১৫ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়ে পরিপত্রের বিরুদ্ধে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ হাসানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন ও শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, এ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মহাপরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন বলেন, বাদি মাহমুদ হাসান ১৯৮৮ সালের ২৬ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরে চাকরিতে যোগ দেন। তার জন্ম তারিখ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তার বয়স হয় ১২ বছর ৪ মাস ১২ দিন।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর গত ২ মার্চ এক অফিস আদেশে বাদিকে বলেন, ১৭ জুলাই তার বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ১৮ জুলাই থেকে তার অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) শুরু হবে। এ অবস্থায় তিনি ছুটি ভোগ করতে চাইলে তাকে আবেদন করতে বলা হয়।

পরবর্তীতে বিদ্যুৎ, জ্বলানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক অফিস আদেশে জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে যে সংশোধিত পরিপত্র জারি করে তার সঙ্গে বাদির বয়স সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আইনজীবী বলেন, পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির সুযোগ পাওয়ার কথা। ফলে তার প্রতি যে অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্টতই এ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট, সংশোধিত পরিপত্র ও অফিস আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আজ সেটির শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি ওই আদেশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমে গেজেট প্রকাশ করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৩ বছর। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি একটা পরিপত্রের মাধ্যমে সে গেজেট সংশোধন করে বলা হয় ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুলাই ২০১৮/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়