ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বাবায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় ভাংচুরের একটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে রাশেদকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফজলুর রহমান। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের বিশেষ সুবিধার কারণে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সেই স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে রাশেদ এ মামলায় ঘটনা ঘটিছেয়ে বলে তদন্তে জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘœ সৃষ্টি করবে, পুনরায় এইরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে বিধায় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশেদকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাশেদের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম, নুর উদ্দিন, জাইদুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, রাশেদকে রিমান্ডে নিয়ে টর্চার করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য হলেও তার জামিন প্রয়োজন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, জামিন দিলে পলাতক হবে না।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রাশেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৮ জুলাই এই মামলায় পাঁচ দিন ও কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ২ জুলাই তথ্য প্রযুক্তির মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিন আদালতে রাশেদের বাবা নবাই বিশ^াস, মা সালেহা বেগম এবং স্ত্রী রাবেয়া আলো উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১ জুলাই সকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। এরপরই রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাবি ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলা করেন। আর আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানো, নাশকতা এবং পুলিশকে মারধর ও কর্তব্য কাজে বাধা দেয়- এই অভিযোগে শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৮/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়