ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জাল জামিন আদেশ : অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৮, ২১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাল জামিন আদেশ : অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক :  জাল জামিন আদেশ তৈরির ঘটনা তদন্তে অনুসন্ধান কমিটি তাদের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে। এতে জালিয়াতিপূর্ণ জামিন আদেশ প্রস্তুতের ঘটনায় হাইকোর্টের ফৌজদারি বিবিধ শাখার এম.এল.এস.এস মঞ্জু রাণী কৈরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্জু রাণী অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে জাল-জালিয়াতিপূর্ণ কাগজ গ্রহন করে জাল জামিন আদেশ প্রস্তুতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছেন। এমনকি নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে তিনি ফৌজদারি বিবিধ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আ: বাসেদের টেবিলে রক্ষিত রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি (অন্তর্ভূক্ত করা) দিয়েছেন। মামলার মূল নথি শাখায় না থাকার জন্য দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।এছাড়া দায়িত্বে না থাকার পরেও মঞ্জু রানীর অনুরোধে এবং তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মোশনের নাম্বারিং (জামিন আবেদন) এন্ট্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার মুদ্রাক্ষরিক তথা অফিস সহকারি মো. মনিরুজ্জামান মনি, ড্রাফট ও কম্পেয়ার করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৌসুমি দেব, জামিন আদেশ টাইপ করার জন্য অফিস সহকারি মো.মুজিবুর রহমান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেদ উক্ত জালিয়াতির ঘটনায় পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। এতে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব চরমভাবে অবহেলা করে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন।

হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি এর সত্যতা পেয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মচারীদের মধ্যে যথাযথ দায়িত্ব বন্টন ও তদারকির মাধ্যমে শাখার শৃঙ্খলাবজায় রাখতে সহকারি রেজিস্ট্রার বেগম সুলতানা এবং সুপারিনটেনডেন্ট মো. মুজিবুর রহমান, রশ রঞ্জন মন্ডল ও মো. জামালউদ্দিন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

দুই বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে তৈরী জামিন আদেশ দিয়ে চট্টগ্রামের একটি ইয়াবা মামলার দুই আসামি আহমেদ নূর ও মো. রাসেলকে কারাগার থেকে বের করে আনা হয়। বিষয়টি নজরে আসলে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট  বেঞ্চ গত ৩০ মে ঘটনাটি তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরই হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চে প্রতিবেদনটিদাখিল করা হয়।

সংশ্লিষ্ট কোর্টের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আলী জিন্নাহ  রাইজিংবিডিকে বলেন,প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে আদালত জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ফৌজদারি বিবিধ শাখার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুলাই ২০১৮/মেহেদী/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়