ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১৮ আসামিই পলাতক

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২১ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৮ আসামিই পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য বিএনপির নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদকে ফিরিয়ে আনতে জোর তৎপরতা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আসামিদের আইনে সোপর্দ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আইনি জটিলতার কারণে আনাটা একটু কষ্টসাধ্য। তবে চেষ্টা চলছে।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই জঙ্গিনেতা মাওলানা তাজউদ্দিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনতে সে দেশের সরকারের সঙ্গে বহিঃসমর্পণ ও পারস্পরিক আইনি সমঝোতা চুক্তির চেষ্টা চলছে। আর কায়কোবাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে। মাওলানা তাজউদ্দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০০৮ সালে দেওয়া প্রথম অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) নেতা তাজউদ্দিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই। পিন্টুও একই মামলার আসামি। তাজউদ্দিন বাদল নামে ভুয়া পাসপোর্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে সিআইডির তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনসহ ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আসামির সংখ্যা ৪৯। এদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ, ডিএমপির প্রাক্তন ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিএমপির প্রাক্তন ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ টি এম আমিনসহ ১৮ জন পলাতক।

সিআইডির বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ও তৎকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ বলেন, ‘হামলাটি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে। যা তদন্ত এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বর্নণায় পরিষ্কার হয়েছে। এখন আদালতে বিচার চলছে। এ নিয়ে বেশি কিছু আর না বলি।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৮/মাকসুদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়