ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীর সময় চেয়ে আবেদন

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীর সময় চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান এবং তার স্ত্রী নাছরিন খান দুদকে হাজির না হয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম বরাবর পাঠানো চিঠিতে তারা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ডাক্তারের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়েছে।

যা তারা এক আইনজীবীর মাধ্যমে ওই আবেদন দুদকে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে উপপরিচালক মো. সামছুল আলম রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তলবি নোটিশে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।

এ ছাড়া ২০১৩ সালে গুলশান থানায় অর্থপাচারের একটি মামলায় মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম তলব করেন।

গত বছরের ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান, তার স্ত্রী, সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান এর চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খানও একজন পরিচালক।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দেনার দায়ে ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেলের হাত ধরেই দেড় যুগ আগে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবার যাত্রা শুরু হয়েছিল।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল) নামে টেলিকম সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পায় বর্তমান সিটিসেল। পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে বিটিএল নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল)।

১৯৯৩ সালে মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মটরস ও ফারইসট টেলিকম মিলে এইচবিটিএল-এর শেয়ার কিনে নিলে এ কোম্পানির মালিকানায় পরিবর্তন আসে। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড।

প্যাসিফিক মটরস যখন সিটিসেলের মালিকানায় আসে, মোরশেদ খান তখন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিনিয়োগ বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বে। আর এইচ এম এরশাদ সরকারের সময়ে সিটিসেল যখন লাইসেন্স পায়, মোরশেদ খান তখন ছিলেন জাতীয় পার্টির কোষাধ্যক্ষ।

একমাত্র অপারেটর হওয়ার সুযোগে সিটিসেল বিএনপি সরকারের সময়ে একচেটিয়া ব্যবসা করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আরো কোম্পানিকে মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স দেওয়া হলে সেই একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটে।

এরপর ধুকতে থাকা এই কোম্পানিতে ২০০৪ সালে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। কিন্তু ব্যবসার আর প্রসার ঘটেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়