ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অব্যাহতি পেলেন সেলিম ওসমান

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অব্যাহতি পেলেন সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার মামলায় সাংসদ সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. একেএম ইমদাদুল হক অব্যাহতির আদেশ দেন।

একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি মো. অপুর অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে মারধর করে আহত করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় চার্জ গঠন করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

চার্জ গঠনের শুনানিকালে সেলিম ওসমান ও মো. অপু এবং শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আদালতে হাজির হন।

শুনানিকালে শ্যামল কান্তি আদালতকে জানান, সেলিম ওসমান নিজে তার কানে থাপ্পর মারে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি পুরো শিক্ষক জাতিকে অপমানিত করেছেন। এখন দুই কানেই শুনতে পাননা। কানে হেয়ারিং লাগিয়ে তাকে চলতে হয়। তাই এমন একটি আদেশ দেওয়া হোক, যাতে  ক্ষত দূর হয়।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুলও শ্যামল কান্তির বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের এভাবে অপমান করা গোটা জাতিকে অপমান করা। যেহেতু মামলার জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে দুই জনের বিরুদ্ধেই শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধর করে আহত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই উভয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হোক।

অন্যদিকে সেলমি ওসমানের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. রায়হান, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক বলেন, জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে কানে থাপ্পর মারার সত্যতা প্রকাশ পায়নি। সেখানে শুধু কানে উঠ-বস করার কথা বলা হয়েছে। আর সেলিম ওসমান তা করেছিলেন জনরোষ থেকে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে বাঁচানোর জন্য। যার মাধ্যমে তিনি বরং শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে বাঁচিয়েছেন। তাই তার অসৎ কোনো  উদ্দেশ্য না থাকায় তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হোক।

শুনানি শেষে বিচারক সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। অপুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

আদালত সেলিম ওসমানকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার পর শিক্ষক শ্যামল কন্তি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন।      

গত বছর ২২ জানুয়ারি হাইকোর্টে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ঢাকার আদালতে বিচারের জন্য বদলির নির্দেশ দেন। এরপর আদালত দণ্ডবিধির ৩২৩/৩৫৫/৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়