ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ১২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায়  আরো তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম, তৃষ্ণা রাণী দাস ও রুবাইয়া আক্তার মীম।

সাক্ষীদের মধ্যে তৃষ্ণা ও মীম শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। এ দুই শিক্ষার্থী ওই দিন বাসের থাক্কায় আহত হন।

মামলার আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন বাসটির চাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আসামিদের মধ্যে কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলম পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে।

আসামিদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। ৩০৪ ধারা অনুযায়ী, খুন বলে গণ্য নয় এরূপ নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

গত ২২ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহতে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়