ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ডাক্তারের সাক্ষ্য

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৯ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ডাক্তারের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার মঞ্জুর আল মোর্শেদ চৌধুরীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর মঙ্গলবার অপর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে মাত্র ১২ কার্যদিবসে ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাগারে থাকা আসামি জাবালে নূরের  চালক মাসুম বিল্লাহ, হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন ও চালক মো.জোবায়ের সুমনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর ২ আসামি বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন।

অপর আসামি জাবালে নূরের মালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশের কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। ৩০৪ ধারা অনুযায়ী, খুন বলে গণ্য নয় এরূপ নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

গত ২২ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়