ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের নেতা ইব্রাহিম রিমান্ডে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের নেতা ইব্রাহিম রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ইব্রাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

অপরদিকে, আসামির পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন আচরণবিধিতে ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করার নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিএনপিনেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুটি মিছিল শোডাউন করে একই দিকে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাস ৮ থেকে ১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। তারা নয়াপলন্টস্থ ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়। তাদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিএনপি অফিসে অবস্থানরত রুহুল কবির রিজভীসহ অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের জানানো হয়। অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার বিষয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঘোষণা দিতে অনুরোধ করা হয়। বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে নয়াপল্টনস্থ ভিআইপি রোডে হকস বে নামীয় গাড়ির শোরুমের উত্তর পাশে রাস্তায় আসামিরা বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা কয়েকটি ককটেলও নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা ৬০ লাখ টাকার একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়