ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ভিকারুননিসার শিক্ষক হাসনা হেনার জামিন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিকারুননিসার শিক্ষক হাসনা হেনার জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। হাসনা হেনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন সন্ত্রাসবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।

শুনানিতে তারা বলেন, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে হাসনা হেনা শিক্ষকতা করেন। এজাহার তিনি অরিত্রীকে কোনো প্রকার প্ররোচণা দিয়েছেন, বকাঝকা করেছেন এমন কোনো বক্তব্য নেই। শুধু বলা হয়েছে অরিত্রী ও তার মা-বাবা আসার পর তিনি তাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শাখা প্রধান জিন্নাত আখতারের কাছে নিয়ে যান। এর বাইরে একটি বক্তব্যও নেই। তাহলে কীভাবে তিনি প্ররোচণা দিলেন। শুধু হয়রানি করার জন্য তাকে আসামি করা হয়েছে। হাসনা হেনার কোনো দোষ নেই। শিক্ষার্থীরা তার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে। আমরা তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামির পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে গত ৪ নভেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আখতার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ডিসেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়