আসিফের মামলার প্রতিবেদন ২০ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলাটি সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

তেজগাঁও থানার মামলায় গত ৫ জুন গ্রেপ্তার হন আসিফ আকবর। পরদিন এ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। ৫ দিন কারাভোগের পর ১১ জুন আদালত আসিফের জামিন মঞ্জুর করলে ওইদিনই তিনি মুক্তি পান।

এদিকে শফিক তুহিন মামলায় অভিযোগ করেন, গত ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। ঘটনা জানার পর তিনি গত ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। যাতে শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।

মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি  ২০১৯/মামুন খান/সাইফ