ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ছাত্রলীগ নেতাসহ নয়জন রিমান্ডে, সাতজন কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৮, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছাত্রলীগ নেতাসহ নয়জন রিমান্ডে, সাতজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ নয়জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রতারণার আরেক মামলায় সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ আলম চঞ্চল, মো. আরিফ, কাওছার আহম্মেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেম।

কারাগারে যাওয়া সাত আসামি হলেন- বি এম আসলাম হোসেন ওরফে তুহিন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও শাখাওয়াত হোসেন।

পুলিশকে মারধরের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন নয় আসামির সাত দিন করে এবং প্রতারণার মামলায় একই থানার এসআই কাজী আশরাফুল হক সাত আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষে আব্দুর রহমান হাওলাদার, শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, পাওনা টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য তারা এক জায়গায় জমায়েত হন। তারা সকলে ছাত্র। পুলিশ ক্ষমতাবলে মামলাটি দায়ের করেছে। মূলত ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তারা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন প্রার্থনা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৯ আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর ৭ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন।

এর আগে শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।

পল্টন থানার ৩৯ নম্বর মামলাটি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং সেই অর্থ চাইতে গেলে বাদী আসলাম আহসান তুষারকে মারধর করার অভিযোগে। এই মামলার আসামি ৭ জন।

মামলার এজাহারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তুষার ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ২০১৮ সালে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, একই ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা করেন পল্টন থানার এসআই আশরাফুল হক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ তারিখ সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করছে, এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ পল্টনের বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ভবনে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে, আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার ভাঙচুর করেছে। বাদী (এসআই আশরাফুল হক) আসামিকে ভাঙচুর না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশকে মারধর করে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়