ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দায়মুক্তির ৫ বছর পর আবুল হোসেনকে দুদকের চিঠি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দায়মুক্তির ৫ বছর পর আবুল হোসেনকে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও ‍দুর্নীতির অভিযোগ থেকে প্রাক্তন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে অব্যাহতি ( নথিভুক্তি) দেওয়ার প্রায় ৫ বছর পর আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সৈয়দ আবুল হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র রাইজিংবিডিকে জানিয়েছে।

দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিনের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাক্তন যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণের নিমিত্ত প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগটি অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্রের আলোকে প্রমাণিত হয়নি বিধায় তা দুদক কর্তৃক অনুসন্ধান পরিসমাপ্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এর আগে সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক চিঠি চেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আবেদন করে সৈয়দ আবুল হোসেন। আর এই অভিযোগটি ২০১১ সালে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ (মানিলন্ডারিং ) শাখা থেকে অনুসন্ধান করা হয়। যার নথি নং- দুদক/বি: অনু; ও তদন্ত -১/মানিলন্ডারিং/৪৯-২০১১/।

 



২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থাপনযোগ্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলা থেকে সাত আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দিয়েছিল দুদক। আদালতে উপস্থাপনযোগ্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের মহাপরিচালকের কাছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর্জা জাহিদুল আলম জমা দিয়েছিলেন।

এর পাশাপাশি পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরো একটি অনুসন্ধান সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে চলমান থাকায় সেখান থেকে প্রায় একই সময়ে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। যার আনুষ্ঠানিক চিঠি এখন দেওয়া হলো।

২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নম্বর ১৯) দায়ের করে দুদক। মামলায় আসামি ও পরবর্তীকালে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- সেতু বিভাগের প্রাক্তন সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ এবং প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল। তবে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সৈয়দ আবুল হোসেন এবং আবুল হাসান চৌধুরীকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছিল।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়