ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রাতে মুখোমুখি ম্যানইউ-পিএসজি

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাতে মুখোমুখি ম্যানইউ-পিএসজি

ক্রীড়া ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াই আজ মাঠে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি টেন টু। একই সময়ে অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে এএস রোমা ও পর্তুগালের ক্লাব এফসি পোর্তো। এই ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি টেন ওয়ান।

ডিসেম্বরে যখন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হয় তখন অবশ্য পিএসজির বিপক্ষে ধুকতে থাকা হোসে মরিনহোর ম্যানইউকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না ফুটবল বোদ্ধারা। কিন্তু মরিনহোর বিদায়ের পর নতুন কোচ ওলে গুনার শুলসারের তত্ত্বাবধানে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যানইউ। সবশেষ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ১১ ম্যাচের একটিতেও হার মানেনি তারা। জিতেছে ১০টিতে। ড্র করেছে ১টিতে। তাইতো ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে ম্যানইউর পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব নেই এখন। 

ম্যানউর কোচ শুলসারও বিশ্বাস করছেন যে সঠিক সময়ে তারা পিএসজির মুখোমুখি হচ্ছে, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা দল হিসেবে খেলব। এমন একটি ম্যাচ খেলার জন্য যদি ম্যানইউর কখনো সঠিক সময় থাকতো, তাহলে সেটা এখনই। আমরা আমাদের সেরা সুযোগটি পাচ্ছি। কারণ, আমরা দারুণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমাদের এই দল যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জেতার সামর্থ রাখে। আমরা পরবর্তী যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’



ম্যানইউ রীতিমতো উড়ছে। তার উপর তাদের ঘরের মাঠে খেলা। অন্যদিকে পিএসজি এই ম্যাচে ইনজুরির কারণে পাচ্ছে না নেইমার দ্য সিলভা, এডিনসন কাভানি ও থমাস মুনিয়ের এর মতো তারকাদের। তাইতো এই ম্যাচে ফেভারিট বলা যায় ম্যানইউকে। কিন্তু তারপরও পিএসজিকে খাটো করে দেখতে রাজি নন শুলসার, ‘নেইমার, কাভানি ও মুনিয়ের এর মতো খেলোয়াড়কে না থাকলে যেকোনো দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। তবে পিএসজি তাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সুযোগটা দিচ্ছে। সে কারণে তারা আনপ্রেডিক্টেবল। আমরা ঠিক জানি না যে নির্দিষ্ট দিনে তারা কেমন খেলবে। যখন আপনি পুরো মৌসুমে ফ্রন্ট লাইনে খেলা তিনজনকে দেখবেন তখন অনুমান করতে পারবেন যে কী হতে পারে। কিন্তু তারা না থাকলে সেটা অনুমান করাও কঠিন।’

নেইমার-কাভানি-মুনিয়েরের অভাব পূরন করার মতো নয়। তবে পিএসজির জন্য সুসংবাদ হল তাদের মিডফিল্ডার মার্কো ভারেত্তি ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন এই ম্যাচে।

এবারই প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পিএসজি ও ম্যানইউ। অবশ্য ফ্রান্সের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অতীত ইতিহাস ভালো। ঘরের মাঠে ম্যানইউর বিপক্ষে ফ্রান্সের কোনো দল জয় পায়নি। ৪টিতে ড্র করার বিপরীতে ১০টিতে জিতেছে ম্যানইউ। ১৯৯৮ সালে মোনাকো ১-১ গোলে ড্র করেছিল ম্যানইউর সঙ্গে। আর ২০০৫ সালে লিলে গোলশূন্য ড্র করেছিল।

তার উপর ইংল্যান্ডের দলগুলোর বিপক্ষে পিএসজির অতীত ইতিহাস খুব বেশি সুখকর নয়। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সবশেষ দশটি অ্যাওয়ে ম্যাচে পিএসজি ইংল্যান্ডের কোনো দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। চারটিতে ড্র করেছে। হেরেছে পাঁচটিতে। তাদের একমাত্র জয় ২০১৬ সালে চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে।

অবশ্য নকআউট পর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেকর্ডও খুব ভালো নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের সবশেষ ৯ নকআউট পর্বের ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র একবার। তাও ২০১৪ সালে অলিম্পয়াকোসের বিপক্ষে। বাকি আট ম্যাচের ৩টিতে ড্র ও ৫টিতে হেরেছে রেড ডেভিলসরা।

এখন দেখার বিষয় এবার তারা কতদূর যেতে পারে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়