ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টানা বৃষ্টিতে খুলনায় পানি থইথই

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টানা বৃষ্টিতে খুলনায় পানি থইথই

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে খুলনার পথঘাট। চারদিকে পানি থইথই। বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শুরু হওয়া বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি দুপুর (সোয়া ২টায়) এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। অনেক স্থানে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খুলনা আবহাওয়া অফিস।

টানা বৃষ্টিপাতে নগরীর পথ-ঘাট নিমজ্জিত হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এক প্রকার ফাঁকা হয়ে পড়েছে শহর। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে শুরু হয় বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টিতে মহানগরীর রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যস্ততম রয়্যালের মোড়, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, শান্তিধামের মোড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।

নগরীর বাসিন্দা ওয়েজুল হক বলেন, ‘সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। নগরীর রাস্তা খোড়াখুড়িতে ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি আরো বেড়েছে। মশার উৎপাতও বেড়েছে। কর্মব্যস্ত শিল্প এলাকা দৌলতপুরের মানুষ বৃষ্টিতে ঘরে আটকা পড়েছে।

শিল্প এলাকার হেলাল হোসেনও বললেন, ‘পানিতে সয়লাব খুলনা শহরে এখন ওয়াসার খুড়ে রাখা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।’

পথচারী নাসির হোসেন বললেন, ‘খোলা নর্দমার কারণে রাস্তার নোংরা পানি পার হয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। রিকশা ও অটো ভাড়াও গুণতে হচ্ছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।’

নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া বড় খালপাড় এলাকার বাসিন্দা হাফেজ মো. কামরুজ্জামান জানান, শিলা বৃষ্টিতে তাদের গাছের আমের মুকুল ও জামরুলের কুড়ি ঝরে পড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, হালকা শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের উপকার হবে। তবে, আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হতে পারে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৫৬ কিলোমিটার। হালকা শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় আসার প্রভাবে এ ধরনের আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



রাইজিংবিডি/ খুলনা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়