ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রাক্তন এমপি শওকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ১৯ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাক্তন এমপি শওকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে ২৯টি আমদানি এলসির বিপরীতে ১২০ কোটি টাকা আত্মসাতে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন সংসদ সদস‌্য মো. শওকত চৌধুরী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য‌্য রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালের ১০ মে রাজধানীর বংশাল থানায় এ সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মো. শওকত চৌধুরী ২০১৪ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যালের মালিক ও মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেডের এমডি হিসেবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন।

ঘটনার সময়কাল ২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। সুদ ছাড়া ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ছিল ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা। যা সুদসহ ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৮৯ টাকা দাঁড়িয়েছে।

চার্জশিটের অন‌্যান‌্য আসামিরা হলেন-বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের প্রাক্তন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রাক্তন ফার্স্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, প্রাক্তন ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বৈদেশিক বাণিজ্য কর্মকর্তা শিরিন নিজামী, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন ফার্স্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান ও ব‌্যাংকের প্রাক্তন এসিষ্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার বাউল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, শওকত চৌধুরী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে ঋণ শ্রেণিকরণের নামে দীর্ঘমেয়াদী অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। দুদক জানায় ঋণ প্রদানে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখায় ২৯টি আমদানি এলসি খোললেও শর্তানুযায়ী এলসি মার্জিনসহ গ্রাহকের নিকট হতে মঞ্জুরিপত্রের সম্মতি টোকেন, চার্জ ডকুমেন্ট, জামানত ইত্যাদি গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া আসামি মো. শওকত চৌধুরী অন্য ব্যাংকে বন্ধক প্রদানকৃত জমির জাল কাগজপত্র দাখিল করেছেন। দুদকের তদন্তে ঘটনার সত‌্যতা পাওয়ায় ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়