ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অভিজিৎ হত্যা মামলা সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৫ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অভিজিৎ হত্যা মামলা সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায়  (চাকরিচ্যুত মেজর) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ ছয় জনের মামলা বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী মামলার চার্জশিট দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেন। বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে গত ১৩ মার্চ মেজর জিয়াসহ ছয় জনের জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন-আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ। অভিযুক্ত ৬ আসামির মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

চার্জশিটে ১৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। এরা হলেন-সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আ. সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।

আসামি সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, জাফরান হাসান, আ. সবুর ও মইনুল হাসান শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার মৃত্যুবরণ করায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মুকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্ধুকযুদ্ধে মারা যান। অপর পাঁচ আসামি সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তুর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী নাফিজা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মার্চ ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়