ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে এখনো ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

অদিত্য রাসেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে এখনো ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা: যান্ত্রিক সভ্যতার এই আধুনিক সময়েও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে মানুষ ও মালামাল বয়ে ছুটে চলছে ঘোড়ার গাড়ি।

এখানের চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটে মানুষ ও নানা ধরণের নিত্য পণ্য বহনে চলাচল করছে প্রচুর ঘোড়ার গাড়ি। বলা যায়, ঘোড়ার গাড়ি এখানের নিয়মিত বাহন। চরাঞ্চলের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবারের জীবন ও জীবিকা এই ঘোড়ার গাড়ি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, মনসুর নগর, খাসরাজবাড়ী, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, মাইজবাড়ী ও তেকানী যমুনা নদী বেষ্টিত এসব ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকায় করে নানা ধরণের পণ্য ক্রয় করেন। এরপর সেসব পণ্য ঘোড়ার গাড়িতে করে স্ব স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান।

এছাড়া ইট, বালু, সিমেন্ট, শন, পাট, কাঁঠাল, বাদাম, মরিচ, ধান, পাট, কাউন, ভুট্টাসহ মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের শস্য ও পণ্য ঘোড়ার গাড়িতে বহন করেন চরাঞ্চলের মানুষ। প্রতিটি ঘোড়ার গাড়ি ১৫-২০ মণ ওজন বহনে সক্ষম। গড়ে এসব গাড়ি দিনে প্রায় ৫০কিলোমিটারের বেশি চরের বালুময় কাঁচা রাস্তায় চলাচল করছে।

কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন ঘোড়ার গাড়ির চালক জানান- তারা নাটুয়াপাড়া, জর্জিরা, কুমারিয়া বাড়ীসহ একাধিক হাটবাজার কেন্দ্রিক গাড়ি চালান। পণ্য বহনে কিলোমিটার প্রতি ৮-১০ টাকা হারে ভাড়া পেয়ে থাকেন। প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০টাকা আয় হয়ে থাকে। আর প্রত্যেকে ঘোড়ার পেছনে প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০টাকা খাওয়া বাবদ খরচ হয়।

সবমিলিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে বর্তমানে তাদের ভালই জীবিকা নির্বাহ চলছে বলেও জানালেন তারা।



রাইজিংবিডি/ সিরাজগঞ্জ/১৮ এপ্রিল ২০১৯/অদিত্য রাসেল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়