ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে পার পেলেন বিচারক

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে পার পেলেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শওকত আলী হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার আগেই মামলায় রায় দেওয়ায় জবাবদিহিতা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিচারককে জবাবদিহিতা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।  অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

আসমা নামের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত বছরের ৮ জুলাই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  কিন্তু এই নির্দেশ কার্যকর না করায় গত ১০ এপ্রিল একই আদালত ওই বিচারককে তলব করেন।  ২৪ এপ্রিল তাকে হাজির হয়ে ওই আদেশ কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।  আদালতের এই আদেশের সংবাদ সকল জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের পর টনক নড়ে বিচারকের।  তিনি গত ১৮ এপ্রিল রায় দেন।  এরপর হাইকোর্টের লিখিত আদেশের কপি পৌছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে।

বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই বিচারক আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে জানান, হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার আগেই মামলায় রায় দেওয়া হয়েছে।  এরপর হাইকোর্ট ওই বিচারককে অব্যাহতি দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসমা খাতুন নামের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট মামলা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নয়ন কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় নয়ন কর্মকার হাইকার্টে জামিন আবেদন করে। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত বছরের ৮ জুলাই নির্দেশ দেন।  কিন্তু গত সাত মাসেও মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় গত ১০ এপ্রিল বিষয়টি আবারো হাইকোর্টের নজরে আনেন নয়ন কর্মকারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।  এ অবস্থায় ওই আদালতের বিচারককে তলব করেন হাইকোর্ট।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৯/মেহেদী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়