মা-ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৯ মে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে বাদী আশরাফ আলীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষে আলমগীর নামের এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন। এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৯ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
আসামিরা হলেন- শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা শামসুন্নাহার করিমের স্বামী আবদুল করিম ও করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। ৫ নভেম্বর জনির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালীন ৮ নভেম্বর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। গত ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন