রমনা বটমূলে বোমা হামলা : চিকিৎসকসহ তিনজনের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় চিকিৎসকসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন- কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আশরাফ হোসেন, খুলনার রূপসা থানার এএসআই মো. আহসান আলী এবং মাদারীপুরের রাজৈর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন।

এ মামলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল ১৩ সাক্ষীর বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর রোববার, সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার (১৯ থেকে ২২ মে) পর্যন্ত আটজন সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত বছরের ১৭ জুন মো. আলাউদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোনো সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় আদালত এ অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এখনো যাদের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে তারা হলেন- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. মিজানুল হক, একই বিভাগের ডা. মিজানুর রহমান, ডা. নুরুল ইসলাম ও ডা. ফজলুল করিম এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার এসআই আমানুল্লাহ।

এ নিয়ে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এই ঘটনায় হত্যা মামলায় একই সংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, আবু তাহের, আ. রউফ, আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, মো. তাজউদ্দিন, সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, শফিকুর রহমান, ইয়াহিয়া ও আব্দুল হাই।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু লোক আহত হন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর এ ১৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৯/মামুন খান/রফিক