ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ১৪ জুলাই

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২৭ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ১৪ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহ-৭ আসনের জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সংসদ সদস্য আব্দুল হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই  আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার।

২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।

২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একইদিন গ্রেপ্তার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।

ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।

আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাইলেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর জিপ গাড়ির পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁছড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম।

দ্বিতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ২ আগস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লি ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও দুইজন হিন্দুকে গুলি করে আহত, শহীদ আ. রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘোষণা।

তৃতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে বৈলরের আ. রহমান মেম্বারকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

চতুর্থ অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে খন্দকার আব্দুল আলী রতনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

পঞ্চম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মো. আবেদ হোসেন খানকে আটক, নির্যাতন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। এ ছাড়া, ৭ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কে এম খালিদ বাবুকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, অভিযুক্ত এম এ হান্নানের রামবাবু রোডের ৫৯নং বাড়িকে ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আসামিরা নতুন বাজারে অবস্থিত এম এ হান্নানের নিজ বাসভবন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো টর্চার সেলে নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে মরদেহ ব্রহ্মপুত্র নদের চরে ফেলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ অঞ্চলে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগ পাওয়া গেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৯/মেহেদী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়