ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আট ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ১৯ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আট ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিএনজি অটোরিকশা চালক হাসমত আলী মোল্লা হত্যা মামলায় আট ছিনতাইকারীকে ডাবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আট জন হলেন- স্বপন ওরফে রাজু, সেলিম শেখ, মো. জামাল হোসেন, আকবর, শেখ ফরিদ, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ওরফে মির্জা, মফিজ শেখ ও কাদির মোল্লা ওরফে কাদির।

রায়ে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় সিএনজি ডাকাতির উদ্দেশ্যে হত্যার জন্য আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ডাকাতির মাল সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪১২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে দণ্ডিতদের প্রত্যেককে প্রত্যেক ধারায় ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর করে ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিহত হাসমত আলী মোল্লা (৩৫) আট বছর ধরে ঢাকা শহরে সিএনজি অটোরিকশা  চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রতিদিনের মতো ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে সিএনজি নিয়ে বের হন। ওইদিন রাত ১১টার সময় বাদী নিহতের ছেলে মো. বাবু মোল্লাকে তাদের দুঃসম্পর্কের নানা শহিদুল ইসলাম খবর দেয় যে, হাসমত আলী মোল্লার লাশ ঢাকা মেট্টোপলিটন হাসপাতালে আছে।

ওই ঘটনায় পরদিন গুলশান থানায় এ মামলা হয়। মামলার তদন্তকালে আসামি স্বপন, জামাল, ফরিদ ও কাদির সিএনজি ছিনতাই ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি প্রদান করেন।  সেখানে তারা স্বীকার করে যে, সিএনজি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চায়ের সঙ্গে নেশার গুড়া মিশিয়ে খাওয়ানোর পর সিএনজির ভেতরেই তাকে ছুরি মেরে হত্যা করে ফেলে যায়।

মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর এসএম শফিউল আজম ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ২৭ আগস্ট আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আদালত এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর শওকত আলম এবং আসামি পক্ষে মো. তারিকুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুন ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়